অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স এর আবেদন করার নিয়ম ও খরচ ২০২৫
ট্রেড লাইসেন্স হল কোনও ব্যবসা পরিচালনার জন্য একটি আইনগত অনুমতিপত্র, যার মাধ্যমে প্রমাণ হয় যে উক্ত ব্যবসাটি বৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং সরকারি বিধি-বিধান মেনে চলছে।
গাড়ি চালানোর জন্য যেমন ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন হয়, তেমনি ব্যবসা পরিচালনার জন্য ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন, যা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা কিংবা সিটি কর্পোরেশন থেকে সংগ্রহ করতে হয় এবং প্রতিবছর নবায়ন করে নিতে হয়।
ট্রেড লাইসেন্স কেন দরকার?
ট্রেড লাইসেন্স নিবন্ধনের পিছনে অনেক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, বিশেষ করে আইনি জটিলতা এড়ানোর ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারি কর্তৃপক্ষ যদি প্রমাণ করে যে আপনি ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনা করছেন, সে ক্ষেত্রে আপনার ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের জরিমানা কিংবা শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন।
এছাড়াও, যদি আপনি আপনার ব্যবসার জন্য কোনও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে কিংবা ঋণ গ্রহণ করতে চান, সে ক্ষেত্রেও ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন, কারণ কোনও কর্তৃপক্ষই ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসার জন্য ঋণ প্রদান করে না।
ব্যবসায়িক বিভিন্ন ধরনের কর প্রদান এবং ভ্যাট নিবন্ধনের জন্যও ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। যদি আপনি অন্যান্য ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে চুক্তি করে ব্যবসা পরিচালনা করতে চান কিংবা কোনও সংস্থায় বিনিয়োগ করতে চান, সে ক্ষেত্রেও লাইসেন্স প্রয়োজন হবে।
সুতরাং, মোটকথা, যদি আপনার ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স না থাকে, তাহলে আপনার ব্যবসা চালানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে এবং বিভিন্ন ধরনের আইনি জটিলতায় পড়তে হতে পারে।
তাই, যেকোনো ধরনের ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করা উচিত।
সর্বনিম্ন কত টাকার ব্যবসায় ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন?
বাংলাদেশের ছোট-বড় যেকোনো ধরনের ব্যবসার জন্যই ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন। ট্রেড লাইসেন্সের জন্য সর্বনিম্ন টাকার ব্যবসার কোনো সীমা নেই।
যেমন, আপনি যদি একটি ছোট দোকান বা স্টল খুলে থাকেন, সেক্ষেত্রেও আপনার ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন। এছাড়াও, ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন ব্যবসা, ক্ষুদ্র ব্যবসা ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছোট-বড় সব ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স বাধ্যতামূলক।
তবে, বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসা, যেমন- ফুটপাতে জুতা সেলাই বা বিভিন্ন ধরনের খাবার ব্যবসা, যেগুলো মৌখিক অনুমতি বা অস্থায়ী অনুমোদনের ভিত্তিতে চলে, সেগুলোর ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াও পরিচালনা করা যায়।
তবে, স্থায়ীভাবে ব্যবসা চালাতে হলে অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স বাধ্যতামূলক।
গ্রামগঞ্জে ব্যবসার জন্যও কি ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন?
হ্যাঁ, গ্রামগঞ্জে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা, যেমন মুদির দোকান, চায়ের দোকান, ফার্মেসি বা ওষুধের দোকান, কৃষি ও পশুপালন ব্যবসা, কাপড়ের দোকান বা কসমেটিক ব্যবসা, বিভিন্ন ধরনের গ্যারেজ ব্যবসা, অনলাইন ব্যবসা, ইট-বালুর রোড ও সিমেন্টের দোকান ইত্যাদি পরিচালনার জন্য ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন।
তবে, গ্রামগঞ্জে ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স শহরের তুলনায় অনেক সহজ ও কম খরচে পাওয়া যায়।
ট্রেড লাইসেন্স কিভাবে পাওয়া যায়?
ট্রেড লাইসেন্স দুইটি পদ্ধতিতে সংগ্রহ করতে পারবেন। এর মধ্যে প্রথম পদ্ধতি হলো, সরাসরি আপনার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, যেমন ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন কিংবা উপজেলা পরিষদের অফিস থেকে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে সংগ্রহ করা।
এর বিকল্প হিসেবে, আপনি অনলাইনেও ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
নিচে উভয় প্রকার পদ্ধতি আলাদা-আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা অনুসরণের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন।
অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম
এ পর্যায়ে চলুন, আমরা দেখে নেই অনলাইনে কিভাবে আপনি ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন। নিচে এই প্রক্রিয়াটি স্টেপ বাই স্টেপ উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্রথম ধাপ: অ্যাকাউন্ট তৈরি করা
- অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ভিজিট করুন Prottoyon ওয়েবসাইটে।
- এই ওয়েবসাইটে আপনাকে প্রথম অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য মেনুবার থেকে ফ্রি নাগরিক অ্যাকাউন্ট অপশন ক্লিক করুন।
- এরপর, অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনার জন্ম নিবন্ধনের তথ্য কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য প্রদান করতে হবে।
- এখানে জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্রের যেকোনো একটি সিলেক্ট করে, তার তথ্যগুলো নিচে প্রদান করুন।
- তথ্যগুলো দেওয়া হয়ে গেলে নিবন্ধন করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- পরবর্তী ধাপে, আপনার মোবাইল নাম্বারে একটি ওটিপি কোড পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ওটিপি কোডটি এখানে লিখে আপনার মোবাইল নাম্বারটি ভেরিফিকেশন করতে হবে।
- মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন করা হয়ে গেলে, এই একাউন্টে লগইন করতে হবে।
- আপনার ফোনে একটি পাসওয়ার্ড পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সুতরাং লগইন করার জন্য আপনার মোবাইল নাম্বার এবং মোবাইলে প্রাপ্ত পাসওয়ার্ডটি লিখে লগইন বাটনে প্রেস করুন।
দ্বিতীয় ধাপ: প্রোফাইল ব্যবস্থাপনা
- পরবর্তী ধাপে, আপনার প্রোফাইল কমপ্লিট করার জন্য আরো কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে।
- যেমন, সাধারণ তথ্য হিসেবে আপনার নাম, আপনার পিতা-মাতার নাম, স্বামী/স্ত্রীর নাম, ইমেইল এড্রেস এবং আরো কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে।
- এরপর, আপনার বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করতে হবে।
- এ তথ্যগুলো প্রদান করা হয়ে গেলে, সংযুক্তি সেকশন আসবে। সংযুক্তি সেকশনে, আপনার ছবি এবং আপনার স্বাক্ষর আপলোড করতে হবে।
- এই তথ্যগুলো দেওয়া হয়ে গেলে, সাবমিট করুন। তাহলেই, আপনার একাউন্টের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
তৃতীয় ধাপ: ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা
- তৃতীয় ধাপে এসে, আপনাকে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এই ধাপে, আপনার একাউন্টের ড্যাশবোর্ড হতে ট্রেড লাইসেন্স অপশনটিতে ক্লিক করুন।
- এরপর, আপনার ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য এখানে প্রদান করতে হবে।
- সাধারণ তথ্য হিসেবে, স্বত্বাধিকারী বা প্রোপ্রাইটরের নাম, পিতা-মাতার নাম সহ আরো অন্যান্য তথ্যগুলো প্রদান করতে হবে।
- সাধারণ তথ্য প্রদান করা হয়ে গেলে, আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রদান করতে হবে।
প্রতিষ্ঠানের তথ্য হিসেবে, প্রতিষ্ঠানের নাম বাংলায় ও ইংরেজিতে, প্রতিষ্ঠান ধরন, প্রতিষ্ঠানের প্রকৃতি, ব্যবসা শুরু করার তারিখ ইত্যাদি ভালোভাবে প্রমাণ করতে হবে। মনে রাখবেন, এখানে কোন তথ্য ভুল হলে, আপনার ট্রেড লাইসেন্স পরবর্তীতে সংশোধন করে নিতে হবে। সুতরাং, সঠিকভাবেই তথ্যগুলো প্রদান করে পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করতে হবে।
- পরবর্তী ধাপে, প্রতিষ্ঠানের ঠিকানার তথ্য সেকশন আসবে। এখানে, প্রতিষ্ঠানের এলাকা, জেলা, উপজেলা, ডাকঘর এই তথ্যগুলো ভালোভাবে প্রদান করুন।
- সবশেষে, “সম্পূর্ণ করুন” বাটন ক্লিক করতে হবে।
- এরপর, আপনার দেওয়া সমস্ত তথ্যগুলোর একটি প্রিভিউ দেখা যাবে। এখানে আরো একবার ভালোভাবে চেক করে দেখুন, কোন তথ্য ভুল রয়েছে কিনা।
- যদি কোন ভুল থাকে, তাহলে এটি সংশোধন করে নিতে পারবেন।
- যদি সমস্ত তথ্য ঠিক থাকে, তাহলে এখানে “সব ঠিক আছে” বাটনে ক্লিক করে ট্রেড লাইসেন্সের আবেদনটি সম্পন্ন করতে হবে।
চতুর্থ ধাপ: আবেদনের ফি প্রদান
ট্রেড লাইসেন্স আবেদনের চতুর্থ পর্যায়ে, অনলাইনে আবেদনের ফি প্রদান করতে হবে। এটা আপনার ট্রেড লাইসেন্সের কোন ফি নয়, এটা মূলত অনলাইনে আবেদনের জন্য একটি ধার্য করা ফি।
এটি সাধারণত ৩০ টাকার উপরে প্রদান করতে হয়। এটি আপনি আপনার মোবাইল ব্যাংকিং, যেমন বিকাশ, রকেট কিংবা ব্যাংক একাউন্টের কার্ডের মাধ্যমে পে করতে পারবেন।
- সুতরাং, এখানে পে করার জন্য বিকাশ বা অন্য যেকোনো অপশন সিলেক্ট করে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে আপনার ফি প্রদান সম্পন্ন করুন।
- আবেদনের ফি প্রদান করা হয়ে গেলে, আপনাকে একটি ট্র্যাকিং নম্বর প্রদান করা হবে। এই ট্র্যাকিং নম্বরটি ভালোভাবে সংরক্ষণ করুন, কারণ পরবর্তীতে আপনার ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য ট্র্যাকিং নাম্বারটি প্রয়োজন হবে।
- এই আবেদনটি সরাসরি আপনার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা কিংবা সিটি কর্পোরেশনে প্রেরণ করা হবে।
- সুতরাং, আপনার ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ঠিক থাকলে, আপনার স্থানীয় অফিস থেকে পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।
- স্থানীয় অফিস থেকে আপনাকে জানানো হলে, আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ধরন ভেদে প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধ করে ট্রেড লাইসেন্সটি সংগ্রহ করতে হবে।
স্থানীয় অফিসের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম
অনলাইনে আবেদনের বিকল্প হিসেবে, আপনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা কিংবা সিটি কর্পোরেশন অফিস থেকেও ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- স্থানীয় অফিসের মাধ্যমে আবেদন করতে হলে, প্রয়োজনীয় তথ্য ও ডকুমেন্টস সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।
- এরপর, ট্রেড লাইসেন্স আবেদনের জন্য সেখান থেকে একটি ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে।
- উক্ত ফর্মে, আপনার ডকুমেন্টস অনুযায়ী সঠিক তথ্য প্রদান করে আবেদনটি জমা দিতে হবে।
- তবে, স্থানীয় অফিসে কাজের চাপ এবং অতিরিক্ত মানুষের জ্যামের কারণে, আপনার এই সেবাটি পেতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে।
- সুতরাং, স্থানীয় অফিস কর্তৃক আপনার আবেদনটি গ্রহণ করা হয়ে গেলে, আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ধরনের উপর ধার্য করা ফি প্রদান করতে হবে।
- তারপর, ট্রেড লাইসেন্স সার্টিফিকেটটি তৈরি হয়ে গেলে, তারা আপনাকে জানাবে এবং তাদের জানানো তথ্য অনুযায়ী নির্ধারিত সময় ট্রেড লাইসেন্সটি সংগ্রহ করে নিতে হবে।
ট্রেড লাইসেন্স আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও ডকুমেন্টস
ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন করার জন্য, আপনাকে কিছু ডকুমেন্টস সাবমিট করতে হবে। এ সকল ডকুমেন্টস গুলোর মধ্যে রয়েছে:
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি।
- ব্যবসার মালিকের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। ব্যবসাটি যদি যৌথ মালিকানা ভিত্তিক হয়, তাহলে উভয় ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ, ছবি এবং হলফনামা প্রদান করতে হবে।
- দোকান বা অফিস যদি ভাড়া করা হয়, তাহলে ভাড়ার চুক্তিপত্র। আর যদি নিজস্ব জায়গায় হয়, তাহলে খতিয়ান বা জমির কাগজ জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে।
- ব্যবসার অবস্থান প্রমাণ করতে, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বা ওয়ার্ড কাউন্সিলর থেকে সংগ্রহকৃত প্রত্যয়ন পত্র।
- যদি আপনার ব্যবসাটি বড় পরিসরে হয়, তাহলে টিআইএন সার্টিফিকেট প্রয়োজন হতে পারে।
- এছাড়াও, আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্য, যেমন ব্যবসার নাম, ব্যবসার ধরন, অবস্থান, ব্যবসার আকার ও বিনিয়োগের পরিমাণ, কর্মচারীর সংখ্যা ইত্যাদি প্রদান করতে হবে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ধরনের উপর, আরো অতিরিক্ত ডকুমেন্টস প্রয়োজন হতে পারে, যেটা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ট্রেড লাইসেন্স এর ফি
এবারে চলুন, ট্রেড লাইসেন্সের জন্য কত টাকা ফি প্রদান করতে হবে, সেটা সম্পর্কে জেনে নিন। সাধারণত, ট্রেড লাইসেন্সের ফি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ধরন, অবস্থান, আকার এবং মূলধনের ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়।
তবে, সাধারণত ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্সের ফি ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা, পৌরসভায় এক হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৫০০০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
ট্রেড লাইসেন্সের সঠিক ফি, আপনার স্থানীয় অফিস কর্তৃক আপনার ব্যবসার ধরনের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ট্রেড লাইসেন্স পেতে কতদিন সময় লাগে?
লাইসেন্স আবেদন করার পর, এটি পেতে তিন থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে, এটি বিভিন্ন বিষয়ের উপরে নির্ভর করে যেমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ধরণ, জায়গা, মালিকানা ইত্যাদি।
তবে কাগজপত্রের সমস্যা থাকলে প্রয়োজনের চেয়ে অধিক সময় লাগতে পারে।
ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন
বাংলাদেশের ট্রেড লাইসেন্স প্রতিবছর একবার করে নবায়ন করে নিতে হয়। এটি প্রতিবছর ৩০ জুনের মধ্যে নবায়ন সম্পন্ন করতে হবে, কারণ বাংলাদেশের নতুন অর্থবছর শুরু হয় পহেলা জুলাই থেকে।
এজন্য, ৩০ জুনের মধ্যে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন না করলে, জরিমানা প্রদান করতে হবে। প্রথম ট্রেড লাইসেন্সের ৫০%-৭০% নবায়ন ফি হিসেবে দিতে হয়।