অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম, ডকুমেন্টস ও ফি ২০২৫

বাংলাদেশে একটি বাচ্চা জন্মগ্রহণ করার পরেই তার জন্ম নিবন্ধন করে নেওয়া উচিত। না, আপনাকে এর জন্য নির্বাচন অফিসে, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা কিংবা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর অফিসে যেতে হবে না।

আপনি যেখানে আছেন, সেখান থেকে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন। শুধুমাত্র পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন এবং এনআইডি সংক্রান্ত তথ্যগুলো প্রয়োজন হবে।

আমি কিছুদিন আগেই একটি জন্ম নিবন্ধন আবেদন সম্পন্ন করেছি, যা তিন দিনের মধ্যে আমি হাতে পেয়েছি।

নিচে আমি অনলাইনে কিভাবে জন্ম নিবন্ধন করতে হবে, কোন কোন ডকুমেন্টসগুলো প্রয়োজন হবে, এবং জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা প্রয়োজন সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধন

অনেকেই বলেন, জন্ম দেওয়ার থেকে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট করানো বেশি কষ্টের। হ্যাঁ, পূর্বে এই কথাটি সত্য ছিল, কিন্তু বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন করানোতে এতটা জটিলতা নেই।

সমস্ত জটিলতা দূর করে বাংলাদেশ সরকার অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করার সিস্টেম চালু করেছে, যার মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তি বাসায় বসেই তার বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন।

এছাড়া এডাল্ট যারা রয়েছেন, জন্ম নিবন্ধন এখনো করেননি, তারাও অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধনে অনলাইনে আবেদনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনি জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন কপি পেয়ে যাবেন এবং তিন দিনের মধ্যেই অরিজিনাল জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে যাবেন।

তাহলে আর দেরি কেন? চলুন, জেনে নেওয়া যাক জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে কিভাবে আবেদন করতে হয়, রেজিস্টার করতে হয়।

বিদেশ থেকে কি জন্ম নিবন্ধন করা যায়?

হ্যাঁ, আপনি অবশ্যই পারবেন। যদি আপনি বাংলাদেশের বাইরে থাকেন এবং বিদেশে থাকা অবস্থায় সন্তানের জন্ম হয়, সে ক্ষেত্রে বিদেশের মাটিতে বসে আপনি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন।

এবং এটি করতে আপনাকে বাংলাদেশ এম্বাসি কিংবা কনসুলেটে যেতে হবে না, অনলাইনে এটি আপনি করতে পারবেন। নিচে আমি এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কী কী লাগে?

একটি বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন করার জন্য বেশ কিছু তথ্য অনলাইনে প্রদান করতে হবে এবং বিশেষ ক্ষেত্রে ডকুমেন্টস আপলোড করতে হবে। এসব তথ্যগুলো প্রয়োজন হবে, সেগুলো হচ্ছে:

  • বাচ্চার জন্মস্থানের ঠিকানা
  • স্থায়ী ঠিকানা
  • জন্ম তারিখ
  • যিনি জন্ম নিবন্ধন করবেন, উক্ত ব্যক্তির তথ্য
  • বাচ্চার পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্মতারিখ
  • বাচ্চার EPI টিকাদানের কার্ড, কিংবা বাচ্চা যদি বড় হয়ে থাকে তাহলে পঞ্চম শ্রেণি, অষ্টম শ্রেণি, কিংবা এসএসসি-এর সার্টিফিকেট

এসব তথ্যের বাইরে আরও বিভিন্ন তথ্যের প্রয়োজন হতে পারে সেগুলো আমরা পরবর্তীতে ধাপে ধাপে প্রদান করব।

ধাপে ধাপে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম

এবার চলুন, আমরা অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদ রেজিস্টার করার মূল পয়েন্টে চলে যাই। উপরে মেনশন করা সমস্ত তথ্যগুলো সংগ্রহ করুন, এবং আমি নিচে যেই ধাপগুলো উল্লেখ করেছি, সেগুলো একে একে অনুসরণ করুন।

প্রথম ধাপ: ওয়েবসাইটে ভিজিট করা

  • প্রথমে ভিজিট করুন বাংলাদেশ জন্ম নিবন্ধন ওয়েবসাইটে।
  • এখানে প্রথমেই আপনাকে জিজ্ঞেস করা হবে, আপনি কোন ঠিকানা অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন করতে যাচ্ছেন জন্মস্থান, নাকি আপনার স্থায়ী ঠিকানা।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন

  • সুতরাং, এই দুটির যেকোনো একটি আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে। তবে, সবচেয়ে ভালো হয় স্থায়ী ঠিকানা অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন করার জন্য।
  • এরপর নিচে আরও একটি অপশন রয়েছে যদি আপনি বাংলাদেশের বাইরে থাকেন, তাহলে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে যদি আপনি জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেন, তাহলে সেখানে টিক চিহ্ন দিতে হবে। আর যদি আপনি বাংলাদেশেই থাকেন, তাহলে এটিতে টিক চিহ্ন দিতে হবে না।
  • এরপর “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।

দ্বিতীয় ধাপ: নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির পরিচিতি

  • দ্বিতীয় ধাপে যার জন্ম নিবন্ধন আমরা করছি, তার তথ্যগুলো প্রদান করব।
  • যেমন, এখানে “নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির পরিচিতি” সেকশনটি রয়েছে। এখানে বাংলায় নামের প্রথম অংশ এবং নামের দ্বিতীয় অংশ লিখতে হবে।

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম

  • যেমন ধরুন, যদি কারো নাম হয় মোহাম্মদ বাধন হোসাইন, তাহলে নামের প্রথম অংশে লিখবেন মোঃ বাঁধন, এবং শেষ অংশে লিখবেন হুসাইন। এভাবে বাংলায় ও ইংরেজিতে নাম প্রদান করুন।
  • এরপর বাচ্চার জন্ম তারিখ প্রদান করুন। জন্ম তারিখ অবশ্যই সন্তানের EPI টিকা কার্ড অনুযায়ী প্রদান করতে হবে, এবং এই ডকুমেন্টসটি আপনাকে এখানে আপলোড করে দিতে হবে পরবর্তী ধাপে।
  • এরপর, পিতা-মাতার কততম সন্তান, লিঙ্গ এই তথ্যগুলো সিলেক্ট করুন।
  • এরপর নিচে দেখতে পাবেন “জন্মস্থানের ঠিকানা” সেকশনটি রয়েছে। এখানে অবশ্যই জন্মস্থানের ঠিকানা ভালোভাবে প্রদান করুন।
  • তবে একটি কথা বলে নেওয়া প্রয়োজন জন্ম নিবন্ধন করার সময় যেন কোনো তথ্য ভুল না হয়, সেদিকে যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে। কারণ, কোনো তথ্য ভুল হয়ে গেলে পরবর্তীতে এটি সংশোধন করা অত্যন্ত ঝামেলাজনক।

তৃতীয় ধাপ: পিতামাতার তথ্য প্রদান করা

  • জন্ম নিবন্ধনের তৃতীয় পর্যায়ে এসে, যার জন্ম নিবন্ধন করছেন, তার পিতামাতার তথ্য প্রদান করতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম

  • যেমন: পিতা-মাতার নাম, জন্ম তারিখ, পিতা-মাতার জন্ম সনদের নম্বর, পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর- এই তথ্যগুলো ভালোভাবে পূরণ করে দিতে হবে।
  • এই তথ্যগুলো পূরণ করা হয়ে গেলে, “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।

চতুর্থ ধাপ: ঠিকানা প্রদান করা

  • এই ধাপে বাচ্চার জন্মস্থানের ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, এবং স্থায়ী ঠিকানা- এই তথ্যগুলো পূরণ করে দিতে হবে।

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম

  • যদি বাচ্চার জন্মস্থানের ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা একই হয়ে থাকে, তাহলে স্থায়ী ঠিকানা অংশের উপরে একটি টিক চিহ্ন দিলে এটি জন্মস্থানের ঠিকানা অনুযায়ী অটোমেটিক্যালি পূরণ হয়ে যাবে। আর যদি আলাদা আলাদা ঠিকানা হয়, তাহলে আলাদাভাবে লিখুন।

তবে এখানে একটি কথা বলে নেওয়া প্রয়োজন, সেটি হচ্ছে, বাচ্চা যদি নিকটস্থ কোনো হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করে, তাহলে আপনি জন্মস্থানের ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা একভাবেই প্রদান করবেন। আর যদি অন্য কোনো জেলায় কিংবা বাংলাদেশের বাইরে বসবাসরত অবস্থায় বাচ্চার জন্মগ্রহণ হয়, তাহলে আলাদাভাবে ঠিকানা প্রদান করতে হবে।

  • ঠিকানার তথ্যগুলো প্রদান করা হয়ে গেলে, “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।

পঞ্চম ধাপ: ডকুমেন্টস আপলোড করা

  • এই ধাপে এসে, যিনি জন্ম নিবন্ধন করছেন, তার তথ্য এবং ডকুমেন্টস আপলোড করে দিতে হবে।
  • আপনি যদি নিজেই জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেন, তাহলে এখানে “নিজ” সিলেক্ট করে দিতে হবে।

Birth Certificate Registration Online

  • আর যদি আপনি অন্য কারো জন্ম নিবন্ধন করেন, তাহলে এখানে “অন্যান্য” লিখে দিয়ে, জন্ম নিবন্ধন ব্যক্তির সাথে আপনার সম্পর্ক সিলেক্ট করে দিতে হবে।
  • এরপর নিচে ফাইল আপলোড করার একটি সেকশন থাকবে। আপনি পূর্বের ধাপগুলোতে যে সকল তথ্য প্রদান করেছেন, সেগুলো যে সত্য, তার স্বপক্ষে অবশ্যই আপনাকে ডকুমেন্ট সাপোর্ট করতে হবে। যেমন: জন্ম নিবন্ধনের পক্ষে আমরা চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র কিংবা ইপিআই টিকাদান কার্ড-এর একটি ছবি তুলে স্ক্যান করে আপলোড দিতে পারি।
  • যদি আপনি নিজ জন্ম নিবন্ধন করেন এবং বড় হয়ে থাকেন, তাহলে পঞ্চম শ্রেণী, অষ্টম শ্রেণী, কিংবা এসএসসি-এর সার্টিফিকেট ছবি তুলে আপলোড করতে পারবেন।
  • এছাড়াও, ঠিকানা প্রমাণ করার জন্য বিদ্যুৎ বিলের কপি, ট্যাক্স রশিদের কপি, অথবা পিতা-মাতার NID কার্ড-এর ছবি তুলে আপলোড করে দিতে হবে।

ষষ্ঠ ধাপ: মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন

  • জন্ম নিবন্ধনের এই পর্যায়ে এসে, আমরা যে আবেদন করলাম, সেই আবেদনের তথ্যগুলোর একটি প্রিভিউ দেখা যাবে।
  • আপনি সমস্ত তথ্যগুলো আরও একবার ভালোভাবে চেক করে নিন। যদি কোন তথ্য ভুল হয়ে থাকে, তাহলে পূর্ববর্তী বাটনে প্রেস করে সে তথ্যটি সংশোধন করে নিতে পারবেন।
  • তথ্যগুলো চেক করা হয়ে গেলে নিচে মোবাইল নাম্বার প্রদান করতে হবে।

Bangladesh Birth Certificate Online Application

  • মোবাইল নাম্বার প্রদান করে ওটিপি পাঠান বাটনে ক্লিক করুন, আপনার ফোনে এটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে। এটি এখানে প্রদান করে দিয়ে ভেরিফাই করতে হবে।
  • মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলেই অনলাইনে আবেদনটি সম্পন্ন হয়ে যাবে।

সপ্তম ধাপ: আবেদনপত্র প্রিন্ট

  • এই পর্যায়ে এসে, আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার আবেদনটি সম্পূর্ণ হয়েছে এবং আবেদনপত্র প্রিন্ট করার একটি অপশন পাবেন।

Birth Certificate BD Online Application

  • এখান থেকে অবশ্যই আপনার আবেদনপত্রটি পিডিএফ আকারে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
  • এখানে একটি আবেদনের নম্বর পাবেন। এই নম্বরটি অবশ্যই সেভ করে রাখুন, কারণ পরবর্তীতে আবেদনপত্র ট্র্যাক করতে কিংবা খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।
  • এখানে আরও বলা থাকবে যে আবেদনপত্র প্রিন্ট করে নিয়ে, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবশ্যই ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন, বা পৌরসভার কার্যালয়ে গিয়ে এই আবেদনপত্রটি জমা দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধ করতে হবে।
  • আর যদি বিদেশে থাকেন তাহলে বাংলাদেশ দূতাবাসে জমা দিতে হবে। জন্ম নিবন্ধনের ফি সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত বলা হয়েছে।

জন্ম নিবন্ধন করার ফি

এবারে চলুন, আমরা জন্ম নিবন্ধনের জন্য কত টাকা ফি প্রদান করতে হয়, সেটি জানবো বাংলাদেশে। এবং বাংলাদেশের বাইরে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য আলাদা আলাদা ফি প্রযোজ্য হয়। নিচে এগুলো উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে:

  • বাচ্চা জন্মগ্রহণের দিন থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে যদি আপনি জন্ম নিবন্ধন করেন, তাহলে এর জন্য কোন ফি প্রদান করতে হবে না।
  • বাচ্চা জন্মের ৪৫ দিন পর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করতে ২৫ টাকা ফি প্রদান করতে হবে।
  • এবং বাচ্চা জন্মের পাঁচ বছর পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত জন্ম নিবন্ধন করার জন্য ৫০ টাকা ফি প্রযোজ্য হবে।

বিদেশে জন্ম নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে:

  • আপনি যদি বাংলাদেশের বাইরে, অর্থাৎ বিদেশে থাকাকালীন বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন করেন, এক্ষেত্রে বাচ্চা জন্মের ৪৬ দিন পর থেকে যেকোনো সময় আবেদন করার জন্য ১ ডলার ফি প্রদান করতে হবে।
  • তবে জন্ম নিবন্ধনের বাংলা এবং ইংরেজি উভয় কপি যদি আপনি চান, তাহলে ৫০ টাকা অতিরিক্ত ফি প্রদান করতে হবে।
  • এবং জন্ম নিবন্ধন কোন কারণে হারিয়ে গেলে সেটি আবার রি-প্রিন্ট করার জন্য ১০০ টাকা প্রদান করতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন পেতে কতদিন সময় লাগে?

এবার আসুন, জন্ম নিবন্ধন করার কতদিন পর আমরা জন্ম নিবন্ধন সনদ হাতে পাবো বা অনলাইন থেকে অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবো।

আপনি যদি জন্ম নিবন্ধনের যেদিন আবেদন করেন, সেদিনই এটি ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভার কাউন্সিলরের অফিসে জমা দেন, তাহলে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অনলাইন থেকে জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

অন্যদিকে, অফিসিয়াল এবং অরিজিনাল জন্ম নিবন্ধন সনদ হাতে পেতে ৩ দিন সময় রাখতে পারে।

তবে বিশেষ ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি সময় প্রয়োজন হতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেটটি পাওয়া যায়।

জন্ম নিবন্ধন এর অনলাইন কপি কিভাবে পাওয়া যাবে?

জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার পর এর অনলাইন কপি কিভাবে সংগ্রহ করবেন বা কিভাবে ডাউনলোড করবেন, চলুন সেটিও আপনাকে দেখিয়ে দিচ্ছি।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে ডাটা বেশি সংরক্ষণ হওয়ার পরেই আপনি এটি অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন কপিটি ডাউনলোড করার জন্য ভিজিট করুন জন্ম নিবন্ধন ডাউনলোড পেইজে। এখানে জন্ম নিবন্ধন কিভাবে ডাউনলোড করতে হয়, সেটি দেখানো হয়েছে।

শেষ কথা

তো, প্রিয় বন্ধু, এটি হচ্ছে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদের আবেদন পদ্ধতি।

জন্ম নিবন্ধন সনদ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে কিংবা এর আবেদন প্রক্রিয়ায় যদি কোন জটিলতা থেকে থাকে, তাহলে আপনি সরাসরি কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে কিংবা আমাকে ফেসবুকে অথবা ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করুন।

আমি আপনাকে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। আচ্ছা, ধন্যবাদ আপনাকে।

জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর

জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর এখানে তুলে ধরেছি। এগুলো জানা আপনার প্রয়োজন হতে পারে।

জন্ম নিবন্ধনের তথ্য কি পরে পরিবর্তন করা যায়?

হ্যাঁ, তবে তথ্য পরিবর্তনের জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয় যা কিছুটা সময়সাপেক্ষ এবং জটিল হতে পারে।

জন্ম নিবন্ধনের জন্য বয়সের কোনো সীমাবদ্ধতা আছে কি?

না, যেকোনো বয়সে জন্ম নিবন্ধন করা সম্ভব। তবে যত তাড়াতাড়ি নিবন্ধন করবেন, ততই সুবিধা বেশি।

জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট কি শিশুদের স্কুলে ভর্তির জন্য বাধ্যতামূলক?

হ্যাঁ, অধিকাংশ স্কুলে শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদ দাখিল করতে হয়।

জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন কতদিন সময় নেয়?

সাধারণত ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অনলাইনে ডাউনলোডযোগ্য কপি পাওয়া যায়, অফিসিয়াল সনদ পেতে কিছুদিন সময় লাগতে পারে।

জন্ম নিবন্ধন কবে থেকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে?

বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার নিয়ম চালু হয়েছে ১৯৮২ সাল থেকে।

জন্ম নিবন্ধন না করালে কি কোনো শাস্তি রয়েছে?

আধুনিক আইন অনুসারে জন্ম নিবন্ধন না করালে সরকারি সুবিধা গ্রহণে সমস্যা হতে পারে, তবে সরাসরি কোনো জরিমানা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *