অনলাইনে আমি প্রবাসী বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম ও খরচ ২০২৫

অনলাইনে আমি প্রবাসী বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করা এখন অত্যন্ত সহজ। ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ ডাউনলোড করে পাসপোর্টসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করে ১০ মিনিটেই আমি প্রবাসী বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করা যায়।

কিছুদিন আগে আমার ভাইয়ের কাতার যাওয়ার আগে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করিয়েছিলাম।

চলুন, আপনাকে দেখিয়ে দেই কিভাবে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করা যায়, কী কী তথ্য প্রয়োজন হয়, কত টাকা খরচ হয় এবং বিএমইটি কার্ড কিভাবে পাওয়া যাবে ইত্যাদি সহ আরও গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য তথ্য।

বিএমইটি কী?

বিএমইটি এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Bureau of Manpower, Employment and Training।

যারা বিদেশে যায় কাজ করার জন্য যায়, তাদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক, বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে তিন দিনের ট্রেনিং করার মাধ্যমে একটি কার্ড প্রদান করা হয়, যা অন্য দেশে যাওয়ার আগে, বাংলাদেশ ছাড়ার সময় ইমিগ্রেশন পয়েন্টে প্রয়োজন হয়।

আমি প্রবাসী রেজিস্ট্রেশন কেন দরকার?

আমি প্রবাসী বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন এবং ট্রেনিং করার অনেক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

মনে করুন, আপনি এমন এক দেশে যাচ্ছেন, সেটা হোক মালয়েশিয়া, কাতার, সৌদি আরব, ইউনাইটেড আরব আমিরাত বা অন্য যেকোনো দেশ।

সেই দেশের চলাফেরা, নিয়ম-কানুন, অর্থ সংক্রান্ত কার্যাবলী, সরকারি বিধি-বিধান এগুলো আপনি কিছুই জানেন না। তখন আপনি উক্ত দেশে গিয়ে হতভম্ব হয়ে যাবেন।

এজন্য দেশ ছাড়ার আগেই, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলায় টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে কাজ করার জন্য সকল বিদেশগামী যাত্রীদেরকে তিন দিনের একটি ট্রেনিং প্রদান করা হয়, যার মাধ্যমে ওই সব দেশের ঐ সকল বিধি-বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত শেখানো হয়।

এটি শেখা হয়ে গেলে, একজন ব্যক্তি ওই দেশে গিয়ে ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারবে। যেদিন আপনার ফ্লাইট রয়েছে, সেদিন বাংলাদেশ ছাড়ার আগে ইমিগ্রেশন পয়েন্টে অবশ্যই এটি চেক করা হবে যে আপনার বিএমইটি করা হয়েছে কিনা।

কাজ করার জন্য যারা বিদেশ যাবেন, সকলের জন্য এটি রেজিস্ট্রেশন এবং ট্রেনিং করা বাধ্যতামূলক।

আমি প্রবাসী রেজিস্ট্রেশন করতে কী কী লাগে?

আমি প্রবাসী বিএমইটি অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার সময়, সেখানে কিছু তথ্য এবং ডকুমেন্টস আপলোড করতে হবে। তথ্যগুলো হচ্ছে:

  • নাম এবং ঠিকানা
  • মোবাইল নাম্বার
  • পাসপোর্ট নাম্বার
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য
  • পিতা-মাতার তথ্য
  • শারীরিক উচ্চতা এবং ওজন সম্পর্কিত তথ্য
  • নমিনির তথ্য
  • জরুরি যোগাযোগের তথ্য

রেজিস্ট্রেশন করার আগে অবশ্যই আপনার পাসপোর্টটি স্ক্যান করে নিবেন, কারণ একটি ফ্রেশ এবং ক্লিয়ার পাসপোর্টের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য।

অনলাইনে আমি প্রবাসী বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম

চলুন তাহলে আমরা এবার দেখিনি, কিভাবে বিএমইটি অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা যায়। এজন্য আপনার স্মার্টফোন এবং উপরে উল্লেখ করা তথ্যগুলোসহ পাসপোর্টের একটি স্ক্যান কপি ফোনে রেখে, নিচে উল্লেখ করা প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন।

প্রথম ধাপ: অ্যাকাউন্ট তৈরী করা

  • প্রথমে, প্লে স্টোর থেকে আমি প্রবাসী অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিন।

  • এটি ইন্সটল করা হয়ে গেলে অ্যাপটি ওপেন করুন।
  • এরপর এখানে কিছু নির্দেশনা আসবে, সেখানে ‘পরবর্তী’ বাটনে প্রেস করুন।

  • এরপর, মোবাইল নাম্বার দেওয়ার একটি পেইজ চলে আসবে। এখানে আপনার একটি মোবাইল নাম্বার লিখে ‘পরবর্তী’ বাটনে প্রেস করুন।

  • মোবাইল নাম্বার দেওয়ার পর আপনার ফোনে একটি কনফার্মেশন কোড আসবে। সেটি এখানে বসিয়ে দিয়ে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে।
  • এরপর, এই অ্যাপ্লিকেশনের জন্য আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে।

  • যেকোনো সময় এই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনি বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

এখানে সর্বনিম্ন ৬ ক্যারেক্টারের পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। আপনি চাইলে আরও ক্যারেক্টার যোগ করতে পারেন, তবে অন্তত একটি নাম্বার এবং একটি চিহ্নসহ অন্যান্য লেটারের সমন্বয়ে পাসওয়ার্ডটি তৈরি করতে হবে।

  • পাসওয়ার্ড তৈরি করা হলে, পরবর্তীতে আপনাকে দেশ সিলেক্ট করতে হবে অর্থাৎ, আপনি কোন দেশে যাওয়ার জন্য মনস্থির করছেন, তা সিলেক্ট করতে হবে।

  • এখানে কমপক্ষে তিনটি দেশ সিলেক্ট করতে হবে। আপনি যেই দেশে যাওয়ার জন্য মনস্থির করেছেন, ওই দেশসহ রিলেটেড আরও অন্তত দুইটি দেশ সিলেক্ট করে নিতে হবে।

এর কারণ, পরবর্তীতে যদি আপনি দেশ পরিবর্তন করেন অর্থাৎ, যে দেশে যেতে যাচ্ছেন, তার পরিবর্তে অন্য দেশের ভিসা পেয়ে থাকেন, তাহলে এই বিএমইটি রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সেই নতুন দেশে যেতে পারবেন। এইজন্য সম্ভাব্য তিনটি দেশ সিলেক্ট করতে হবে। তবে আপনি চাইলে একাধিক দেশ একসাথে সিলেক্ট করতে পারেন।

  • এর পরবর্তী ধাপে, আপনার দক্ষতার তথ্য সিলেক্ট করতে হবে। যেমন: আপনি কোন কোন কাজে দক্ষ, সেগুলো এখানে সিলেক্ট করে দিতে হবে। এরপর ‘পরবর্তী’ বাটনে প্রেস করুন।

  • পরের ধাপে আপনাকে কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে, যেমন: আপনার জেন্ডার, বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বর্তমান চাকরির অবস্থা, আপনি বিদেশে কর্মরত আছেন কিনা, আপনার বিএমইটি কার্ড আছে কিনা ইত্যাদি তথ্য সিলেক্ট করে দিয়ে ‘পরবর্তী’ বাটনে প্রেস করুন।

এরপর, আপনার একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।

দ্বিতীয় ধাপ: আবেদন করা

  • এখন আপনার কাজ হবে, অ্যাপ্লিকেশনের ড্যাশবোর্ড থেকে “বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন” এই অপশনটিতে ক্লিক করা।

  • বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন বাটনটিতে ক্লিক করার পর, আপনি কোন দেশে যেতে ইচ্ছুক সেটি সিলেক্ট করে দিতে হবে।

  • এরপর, ‘পরবর্তী’ বাটনে প্রেস করুন।
  • এরপর, আবেদন করার একটি ধাপ চলে আসবে। এখানে প্রথমেই আপনাকে পাসপোর্ট স্ক্যান করে নিতে হবে।

আপনার ফোনের ক্যামেরা দিয়ে একটি স্পষ্ট পাসপোর্টের ছবি তুলতে হবে, যেন সকল তথ্য পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। যদি ক্যামেরা ভালো না থাকে, তাহলে আশেপাশের কোনো দোকান থেকে স্ক্যানার দিয়ে পাসপোর্ট স্ক্যান করে নিন। এরপর, সেটি আপনার ফোন থেকে আপলোড করুন।

  • পাসপোর্ট স্ক্যান করা হয়ে গেলে, এখানে অটোমেটিক্যালি আপনার পাসপোর্টের তথ্যগুলো দেখা যাবে। তবে এই তথ্যগুলো আবার একবার দেখে নিবেন। যদি কোনো তথ্য ভুল হয়, সেগুলো সংশোধন করে দিবেন।

  • এরপর, ব্যক্তিগত তথ্য সেকশনে আপনার পিতা-মাতার নাম, আপনার বৈবাহিক অবস্থা, ধর্ম এবং শারীরিক তথ্যগুলো পূরণ করতে হবে।

  • এর পরের ধাপে, আপনার একটি মোবাইল নাম্বার, ইমেইল অ্যাড্রেস এবং ঠিকানা তথ্য প্রদান করতে হবে।
  • এরপর আসবে নমিনির তথ্য সেকশন। এখানে নমিনির সাথে আপনার সম্পর্ক, নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, মোবাইল নাম্বার এবং পিতা-মাতার নামসহ অন্যান্য তথ্যগুলো পূরণ করতে হবে।

  • আপনি নমিনি হিসেবে আপনার স্বামী/স্ত্রীর তথ্য প্রদান করতে পারেন, এটি সবচেয়ে ভালো উপায়।
  • এরপর, আপনাকে শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য প্রদান করতে হবে। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু, সেটি সিলেক্ট করতে হবে।

  • এরপর, পাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, বোর্ড, বিষয়, রেজাল্ট ইত্যাদির তথ্যগুলো প্রদান করতে হবে।
  • এরপর, আসতে হবে আপনাকে ভাষাগত দক্ষতার সেকশনে। এখানে আপনি কোন কোন ভাষায় দক্ষ, সেটি সিলেক্ট করে দিতে হবে।

  • ভাষাগত যোগ্যতা হিসেবে আপনি বাংলা এবং মৌখিক ও লিখিত দক্ষতা হিসেবে “মাতৃভাষা” সিলেক্ট করে দিতে পারেন। এটি সবচেয়ে ভালো হয়।

  • আচ্ছা, এবার আমাদের তথ্য প্রদান করার কাজ শেষ। এখন ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হবে। আমরা যে পাসপোর্ট স্ক্যান করে আপলোড করলাম এবং আবেদন করলাম, এটি ভেরিফিকেশন করার জন্য সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় নিতে পারে। এর থেকে কম সময়েও ভেরিফিকেশন হয়ে যায়।

তবে ভেরিফিকেশন করার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন, পাসপোর্টের কোনো তথ্য যদি স্পষ্টভাবে দেখা না যায়, তাহলে ভেরিফিকেশনে সমস্যা হতে পারে। সুতরাং, পাসপোর্ট স্ক্যান করার সময় অবশ্যই দেখবেন, যেন প্রতিটি কোনাসহ সকল তথ্য স্পষ্টভাবে দেখা যায়।

  • পাসপোর্ট যখন ভেরিফাইড হয়ে যাবে, তখন পেমেন্ট করার অপশন চলে আসবে। এখানে ‘পেমেন্ট করুন’ বাটনে ক্লিক করে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশনের ফি প্রদান করতে হবে।

  • এখানে বিকাশ অথবা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কার্ড সিলেক্ট করে, বিএমইটির প্রাথমিক রেজিস্ট্রেশন ফি হিসেবে ৩০০ টাকা পে করতে হবে।

রেজিস্ট্রেশন ফি পে করা হয়ে গেলে, এটি এপ্রুভ হওয়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় নিতে পারে। সুতরাং, এখানে ‘ঠিক আছে’ বাটনে প্রেস করে এটি এপ্রুভ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন।

অফলাইনে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম

উপরে দেখানো পদ্ধতিতে অনলাইনে যদি আপনার বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করতে অসুবিধা হয়, তাহলে আপনি সরাসরি আপনার জেলার টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারবেন।

এক্ষেত্রে শুধু আপনার তথ্য এবং পাসপোর্টসংক্রান্ত তথ্যগুলো তাদেরকে প্রদান করতে হবে। তবে, রেজিস্ট্রেশনের জন্য তারা ৩০০ টাকার উপরে অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ ধার্য করতে পারে।

বাংলাদেশ TTC List পেজে ভিজিট করে আপনি আপনার জেলায় কোথায় TTC রয়েছে, সেটি জানতে পারবেন।

আমি প্রবাসী রেজিস্ট্রেশন করার ফি

চলুন, আমি প্রবাসীর রেজিস্ট্রেশন এবং ট্রেনিং কোর্স সম্পর্কে আপনাকে জানিয়ে দেই। অনলাইনে “আমি প্রবাসী” প্রাথমিক রেজিস্ট্রেশন করতে ৩০০ টাকা পে করতে হয়।

আমি প্রবাসীতে রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে গেলে, যখন আপনি ট্রেনিং করবেন (ভিডিও ট্রেনিং), তখন সরকারের ফি হিসেবে ২০০ টাকা প্রদান করতে হয়। তবে, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে এর থেকেও বেশি ফি নেওয়া হয়ে থাকে।

বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার পর করণীয় কী?

অনলাইনে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার পর আপনার কাজ হবে আপনার জেলার টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে ভিজিট করা এবং সেখানে আপনার বিএমইটি রেজিস্ট্রেশনের তথ্য প্রদান করে ট্রেনিং কোর্সের জন্য প্রস্তুত হওয়া।

এখানে তিনদিনের পিডিও ট্রেনিং প্রদান করা হয়। সুতরাং, তাদের নির্দেশিত তারিখ অনুযায়ী ট্রেনিং সম্পন্ন করতে হবে। ট্রেনিং সম্পন্ন করা হয়ে গেলেই অনলাইনে আপনি বিএমইটি স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

আমি প্রবাসী স্মার্ট কার্ড পাবেন যেভাবে

বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করার পর, আপনার জেলায় যখন আপনার তিন দিনের ট্রেনিং সম্পন্ন হবে, ট্রেনিং সম্পন্ন হওয়ার পরপরই অনলাইনে যেটা কমে যায় পিডিও, অর্থাৎ আমি প্রবাসী বিএমইটি স্মার্ট কার্ড পাওয়া যাবে।

সেখান থেকে পাসপোর্ট নাম্বারের মাধ্যমে ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে। আমি প্রবাসী স্মার্ট কার্ড কিভাবে ডাউনলোড করবেন, সেই প্রক্রিয়াটি জানতে ভিজিট করুন BMET স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড পেজে।

আমি প্রবাসী বিএমইটি স্মার্ট কার্ড কখন দরকার হয়?

আপনি বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন এবং ট্রেনিং করার পর, এটি কখন প্রয়োজন হবে সেটিই মূল বিষয়। এটি মূলত ইমিগ্রেশন পয়েন্টে প্রয়োজন হয়।

অর্থাৎ, যেদিন আপনার ফ্লাইট রয়েছে, সেদিন ইমিগ্রেশন পয়েন্টে আপনার ডকুমেন্টসগুলো ভেরিফিকেশন করা হবে। সেখানেই আপনার এই বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন এবং ট্রেনিং করেছেন কিনা, সেটি তারা দেখবে।

সুতরাং, ইমিগ্রেশন পয়েন্টে যাওয়ার আগে অবশ্যই বিএমইটি স্মার্ট কার্ডের একটি প্রিন্ট কপি নিজের সাথে রাখবেন এবং মোবাইলে ডাউনলোডকৃত বিএমইটির পিডিএফ অনলাইন কপি সংরক্ষণ করে রাখবেন।

আমি প্রবাসী সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

আমি প্রবাসী বিএমইটি সংক্রান্ত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর এখানে তুলে ধরেছি যেগুলো জানা আপনার প্রয়োজন হতে পারে।

BMET রেজিস্ট্রেশনের জন্য ট্রেনিং কি বাধ্যতামূলক?

হ্যাঁ, BMET রেজিস্ট্রেশনের জন্য তিন দিনের ট্রেনিং বাধ্যতামূলক।

ট্রেনিং শেষ হলে আমি কোথা থেকে BMET Smart Card ডাউনলোড করবো?

আপনি Ami Probashi অ্যাপে অথবা BMET অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

রেজিস্ট্রেশনের পর স্মার্ট কার্ড পাওয়া কতদিন সময় লাগে?

সাধারণত ট্রেনিং শেষ হওয়ার পর ২–৩ কর্মদিবসের মধ্যে স্মার্ট কার্ড অনলাইনে পাওয়া যায়।

নমিনি (Nominee) হিসেবে কাকে দেওয়া সবচেয়ে ভালো?

নমিনি হিসেবে স্ত্রী/স্বামী বা নিকট আত্মীয় যেমন বাবা, মা, ভাই, বোন ইত্যাদি দেওয়া যেতে পারে। তবে সাধারণভাবে স্ত্রী/স্বামী দেওয়া সর্বোত্তম।

আমার পাসপোর্ট ভেরিফাই হচ্ছে না, এখন কী করব?

ভেরিফিকেশন না হলে, নতুন করে ভালোভাবে স্ক্যান করা পাসপোর্ট আপলোড করুন এবং আবার চেষ্টা করুন। প্রয়োজন হলে স্থানীয় TTC তে যোগাযোগ করুন।

আমি প্রবাসী ট্রেনিং কখন ও কোথায় হয়?

ট্রেনিং সাধারণত নিজ জেলার টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (TTC)-এ নির্ধারিত দিনে সম্পন্ন করতে হয়। আপনি Ami Probashi অ্যাপে নোটিফিকেশন পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *